বুকের ভিতর মনের মনি কোঠায় অনেক হালকা পাতলা গপ্পো না বলা না কওয়া ই রয়েছে ৷ আমার জীবন যেন একটা গল্পের বইয়ের ই পৃষ্ঠা ৷ যতই উল্টে পাল্টে যাই গল্পের ভান্ডার বুরবুরি কাঁটে ফিসফিস করে কানাকানি করে ৷ কখনো তো কল্পনায় ভাবতেও পারিনি আমাকে আমি এমন ভাবে মেলে ধরতে পারবো যেখানে বন্ধুরা আমার লেখাকে এতটা সমাদর করে পড়বেন তাঁদের মতামত জানাবেন ৷ সময়টা বেশ কয়েক বছর আগের দিন তারিখ মনে নেই ৷ কেননা দিন তারিখ মনে করে ঘটনা গুলি মনে পড়ছে না যখন যেমন মনে আসছে তেমনই বলছি ৷ কর্তার সিফট ইন ডিউটি এক এক সপ্তাহ একেক রকম ভাবে বাড়ি থেকে যাতায়াত করেন ৷ ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেন দিনের বেশীর ভাগ সময় পথেই কাটে ৷ মর্নিং ডিউটির সময় ভোর চারটের সময় বের হতেন ৷ আমাদের পাড়ার মুখুজ্জে বাড়ির মুখার্জিকাকাও বারোমাস তিনশো পঁয়ষট্টি দিন ভোর চারটেয় অফিসে বের হতেন ( ছুটির দিন বাদে ) l গরমের দিনে জলঢালা পান্তা ভাত আর শীতে আলুভাতে গরম ভাত নিতেন দুপুরের খাবার গল্পকথা মনে হলেও গল্প নয় সবই জীবনের কঠিন বাস্তব গল্প ৷ গ্রামে তখনো পাকা রাস্তা নেই অনেকটা পথ সাইকেলে গিয়ে বাস ধরতে হয় ৷ অনেক দূরে ফোন বুথ সে এপাড়া ওপাড়া অথবা বাজারে ৷ ওপাড়ার মুখুজ্জে বাড়িতে একটা ল্যান্ড ফোন আছে বিপদে আপদে সবাই সেখানেই ছুটে যাই হা পিত্যেশ করে লাইনের জন্য বসে থাকি ৷ মাঘের শীত ভোর চারটে কর্তা মশায় ভাত তরকারি নিয়ে অফিস বেরিয়ে গিয়েছেন ৷ ফ্রিজ বা গ্যাস তখনো আসেনি সুতরাং জনতাতেই রান্না করতাম ৷ রাত তিনটেয় উঠে রান্না করা টিফিন বানানো সেটা নিয়ম ই ছিল কষ্ট হলেও গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল ৷ শিমুলিয়া উঃ চব্বিশ পরগনা
コメント
0