写真

সাত বছর ধরে ভাঙা দুটি সেতু ভয়ে ভয়ে পার হতে গিয়ে এখন আর কোনো কিছুতে সাহস পাই না। সবার গতি যেন সেতুর কাছে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাওয়া আসার সময় খুব টেনশনে থাকি। টেনশন আর ভয়ে জীবনটা আমাদের শেষ হয়ে গেলো। এলাকার মানুষের জীবনের গতি কমিয়ে দিয়েছে এই সেতু দুটি। 
দেশে কত বড় বড় ভবন হচ্ছে, ব্রিজ হচ্ছে, অথচ সাত বছর ধরে এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাদের হাত পায়ে ধরেও সেতু দুটি মেরামত করতে পারিনি আমরা এলাকার মানুষ। এ কারণে এলাকাবাসীর মাঝে এখন ব্যাপক ক্ষোভ। সবার মিথ্যা আশ্বাসে আমরা খুবই বিরক্ত। এভাবেই বলছিলেন, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের সুখী নীলগঞ্জ বাজারের কয়েকজন। ভাঙা এই সেতু দুটি এলাকার ভাড়ানি খালের ওপর ঝুলছে।
২০২৩ সালে আবারও পৃথিবীর  সবচেয়ে সুখী দেশ হয়েছে প্রিয় ফিনল্যান্ড। পরপর ছয় বছর পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে মনোনীত হয়েছে ফিনল্যান্ড।আমি গর্ববোধ করি,আমি অত্যন্ত খুশি যে আমি এই দেশে বসবাস করি গত ১৭ বছর ধরে. সুখী দেশ কেন বলা হয় সেটা গত ১৭ বছরে পৃথিবীর নানান দেশ ভ্রমণ করে আমি বুঝতে পেরেছি। পৃথিবীর যতই সুন্দর দেশ হোক না কেন বা  শক্তিশালী দেশ হোক ফিনল্যান্ডের মত এত নিরাপত্ত এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমি কোথাও পাইনি। পৃথিবীর সবচাইতে দুর্নীতি মুক্ত দেশ ফিনল্যান্ড। সবুজ আর হ্রদের দেশ ফিনল্যান্ড, যেখানকার বাতাসে ক্ষতিকর উপাদান নেই বললেই চলে।পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ দেশ ফিনল্যান্ড,  সবুজে ভরপুর বাল্টিক সাগরের তীর ঘেঁসে এই দেশটির  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ, আমি আরো ভাগ্যবান যে আমি এ দেশের বাসিন্দা, বুকভরে নেই  বিশুদ্ধ বাতাস, চোখে জুড়ে সবুজ, মানুষেরা জলের মত স্বচ্ছ, কুটিলতা বা অন্যকে ঠকানোর প্রবনতা কম, এমন দেশটিতে চোখ জুড়ে ফুটে থাকে সুন্দরী টিউলিপ। আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে বাসযোগ্য দেশেটির নাম ফিনল্যান্ড ।এই দেশটিতে থেকে যেতে চাই অনন্তকাল ।❤️❤️❤️❤️❤️
রুমা খাল-আলিকদমের পর এবার ডিনামাইট দিয়ে পাথর ভেঙ্গে ট্রাক দিয়ে লুটপাট করার চিত্র দেখলাম বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু খালে। পাথর চোরেরা জায়গায় জায়গায় পাথর খুবলে নিয়ে গেছে, আর অনেক জায়গায় ভেঙে স্তুপ করে জমা করে রেখেছে পরে সুযোগ মত এসে নিয়ে যাবার জন্য। তিন্দু খালের মোহনা তিন্দু বাজার থেকে অন্তত তিন কিলো ভেতর পর্যন্ত সরেজমিনে একই চিত্র দেখে এলাম।  এলাকার হেডম্যান ও কয়েকজন কারবারীকে ধরে বুঝালাম যে  অল্প কিছু টাকার লোভে পাথর সরানোর ফল আসছে বর্ষাতেই পাবে তাদের এলাকাবাসী। খুমি হেডম্যান এর বয়স ৮৬, তাকে দেখা করার কারণ জানানো হয়েছিলো। সে সাংবাদিক মনে করে বসিয়ে রেখে সময়ক্ষেপন করে পরে আর দেখা করে নাই। কারবারীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে তাই কারো নাম দিলাম না। এলাকার সাধারণ অনেকের সাথেই এ ব্যাপারে কথা হলো, সবাই পাথর উত্তোলনের বিরোধী কিন্তু তাদের ভাষ্যানুযায়ী তাদের নেতা নাই। তাই প্রতিবাদ করার ও কেউ নাই। পর্যবেক্ষণে যা বুঝলাম এই বর্ষাতেই হেডম্যান পাড়া সংলগ্ন মার্সি স্কুল ও হোষ্টেল ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাছাড়া আরো কিছু পাড়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এক আদিবাসী নিজেই বললো, "পাথর পানির মা কারণ পাথর পানি ধরে রাখে।" সুতরাং শুধু যে পাথর পানির যে স্রোত সামলাতো তা নরম মাটি সামলাতে না পেরে সেডিমেন্ট ওয়েদারিং এর কারণ হয়ে ভূমিধ্বস ঘটাবে তা নয় বরং সামনের শুকনা সিজনে এই খালে পানির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। খালে পানির পরিমাণ কমলে পুরো ইকোসিষ্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দু:খ লাগে। খুব দু:খ লাগে অজ্ঞান অসচেতন বাঙালি আর পাহাড়ে যারা থাকে সেখানকার সচেতন তরুণ অংশের পরিবেশ বিষয়ক নীরবতা দেখলে। এত রাজনীতি সচেতন তারা, তবে পরিবেশ সচেতন একদমই নয় কেন? বাঙালী ও পার্বত্য আদিবাসী ব্লগারদের দেশের নানা ফোরামে পরিবেশের ব্যাপারে আরো সচেতন ও সরব হবার আহবান জানাচ্ছি।

 তিন্দু কোন দূর্গম স্থান নয়। তিন্দুতে বিশাল বিজিবি ক্যাম্প আছে। আছে ট্যুরিষ্টের আনাগোনা। তাই উপযুক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন কারো নজর ও উদ্যোগই এই অঞ্চলকে বাঁচিয়ে দিতে যথেষ্ট। কারো ক্ষমতা থাকলে সাহায্য করুন।
কিসের অহংকার
গত শুক্রবার যমুনা ফিউচার পার্কের মসজিদের সামনে এই লোকটা ভিক্ষা করছিলেন তার পরিচয় হচ্ছে তিনি সাবেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মিঃ শাহজাহান। মান্দার এলাকায় তার গার্মেন্টস ছিল। সম্প্রতি তিনি ১০ কোটি টাকা লোকসান করে আজ পথের ফকির। তার স্ত্রী খুব অসুস্থ। তিনি নিজেও হার্টের রোগী। বড় অপারেশন হবে। তাই সাহায্য চাচ্ছে। মনে মনে ভাবলাম কত মানুষের রোজগারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন আজ তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা   করছেন। এরকম কিছু মানুষের জন্যই হয়তো এতো বড় একটি সেক্টর এর জন্ম হয়েছিল।  
আল্লাহ যে কাকে কোন অবস্থা থেকে কোন অবস্থায় নিমিশেই নিয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারবে না, তাই নিজের অবস্থান ও অর্থবিত্ত নিয়ে অহংকার না করি এবং অন্যের খারপ অবস্থার জন্য কাউকে খোটা না দেই। আল্লাহ সবাইকে যে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থেকেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার তৌফিক দান করুন৷  আমীন
সংগৃহীত

ブログ

川の歴史。